বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শুধু সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো কঠিন হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা ইন্টারেস্ট সেনসেটিভ না। যেমন ছোট ব্যবসায় ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া বা অনেক কিছুতেই পশ্চিমা দেশের মতো সুদ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। একে ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট বলে।
আমাদের এখানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ আসছে না। কারণ অনেকেই ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইমপোর্টও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে সরবরাহ বাড়ছে না। এটা না বাড়লে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর সঙ্গে রয়েছে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্যাস। এগুলোতে বেশি নজর দিতে হবে। ছোট এবং মাঝারি শিল্পগুলোতে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। তাহলে আমাদের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়বে। আরেকটা বিষয় খেয়াল করতে হবে- যেসব পণ্য মানুষ বেশি ব্যবহার করে, প্রথমদিক হলো সরবরাহ বেশি হলে প্রাইস বেটার হবে। দ্বিতীয়ত চাকরির ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে হবে। ফলে মানুষের আয় বাড়বে। আর মানুষের আয় বাড়লে আঘাত একটু কমবে। কেননা একেতো মানুষের কাছে টাকা-পয়সা কম, তার ওপর বেকারত্ব- সব মিলিয়ে একটা কঠিন অবস্থা। একটা পরিবারে হয়তো বাবা কাজ করে, ছেলে কাজ পায় না বা করে না। আমাদের দেশের ফ্যামিলি বেইজড পাশ্চাত্য দেশের মতো না। এখানে নিজেরা কাজ করে নিজেরা আয় করে এবং নিজেরা খরচ করে এমনটা নয়। এখানে হলো- একজন কাজ করে বাকি চারজন কাজ করে না বা পায় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বাজার মনিটর করা। বাজার ম্যানুপুলেশন সরকারের ব্যর্থতা। মাঝে মাঝে জরিমানা করে এ ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। কারও কাছে যদি গুদামজাত পণ্য থাকে তাহলে উচিত তার পুরো জিনিস বাজেয়াপ্ত করা।