শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

শ্লীলতাহানির মামলা কাউন্সিলরের, ষড়যন্ত্র বললেন মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি মামলা ও বাগযুদ্ধের পর এবার নিজের পৌরসভার নারী কাউন্সিলরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন মেয়র মুহিবুর রহমান। বিশ্বনাথ পৌরসভার এই মেয়রের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন নারী কাউন্সিলর। তবে, মেয়র মুহিবের অভিযোগ- এক পুরুষ কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারী কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

অনিয়ন্ত্রিত কথাবার্তা ও নানা কর্মকান্ডে প্রায় এক বছর ধরে সিলেটে আলোচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থানা ও আদালতে গড়িয়েছে একাধিক মামলা। এবার নিজ পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিব্রতকর ভিডিও আপলোড এবং অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার সাত কাউন্সিলর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ছাড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেছেন। গত বুধবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় মেয়র ছাড়াও দুই কাউন্সিলরসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

 গতকাল দুই কাউন্সিলরসহ সাতজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে মেয়র মুহিবুর রহমান এখনো জামিন আবেদন করেননি। মামলায় মারধর, শ্লীলতাহানি ও গাড়ি দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলায় কাউন্সিলর রাসনা অভিযোগ করেন, পৌরসভার সাতজন কাউন্সিলর মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এতে মেয়র ও তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে মেয়র মুহিবসহ মামলার অন্য আসামিরা উপজেলার দক্ষিণ মিরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ফেসবুকে পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করা শুরু করলে তিনি ও স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। এ সময় মেয়র মুহিবুর রহমান তাকে চুলধরে টানাহিঁচড়া ও শ্লীলতাহানি ঘটান। অন্য অভিযুক্তরাও তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় নিজের গাড়ি দিয়ে মেয়র তাকে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও মামলায় অভিযোগ করেন ওই নারী কাউন্সিলর।

এদিকে, গতকাল এ প্রসঙ্গে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করেন মুহিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর রাসনা তার বিরুদ্ধে সাজানো তথ্য দিয়ে থানায় মামলা করেছেন। কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেছে। মুহিবের অভিযোগ, একটি রাস্তা নির্মাণ কাজে কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও তার সহযোগীদের চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে এরকম মামলা-মোকদ্দমা নতুন কিছু নয় দাবি করে মুহিবুর রহমান বলেন, ‘যখনই কোনো নির্বাচন আসে তখনই একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। এই মামলা অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তার সমর্থিত প্রার্থীকে দুর্বল করার অপচেষ্টার অংশ বলেও দাবি করেন মুহিব।

সর্বশেষ খবর