থিয়েটার আর্ট ইউনিটের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো ‘মাধব মালঞ্চী’ নাটকের দুই দিনব্যাপী মঞ্চায়ন। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে শুরু হয় এ মঞ্চায়ন। এটি দলের ৩৬তম প্রযোজনার নাটক। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে বিভাস চক্রবর্তী রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুরুজ্জামান বাবু, মানিক, সজল, ইসমাইল সিরাজী, রানা সিকদার, লেমন, ক্ষমা, ঐতিহ্য, বাঁশরী, তানভীর, ভাবনা, সুজন, লেলিন, ইন্দ্রাণী, দোলন, ফারহানা, ফুয়াদ, প্রদীপ, মোকাদ্দেম প্রমুখ। সংগীত পরিকল্পনায় সেলিম মাহবুব। আলো ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ।
দুর্লভ রাজার ছোট পুত্র মাধব। রানির মৃত্যুর পর রাজা মাধবকে লালনপালনের দায়িত্ব দেন তার বড় পুত্রবধূ চন্দ্রবনকে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুর্লভ রাজা মৃত্যুবরণ করার সঙ্গে সঙ্গে রাজা হওয়ার বাসনায় রাজপুত্রদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ভবিষ্যৎ রাজা ঠিক করার জন্য গণনা করা হয় এবং তিনবারই গণনায় মাধবের নাম আসে। ক্ষুব্ধ বড় ভাইদের পথের কাঁটা দূর করবার জন্য মাধবকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা জেনে যায় চন্দ্রবন। আদরের দেবরকে রক্ষা করার জন্য চন্দ্রবন মাধবকে পাঠিয়ে দেয় দূর দেশে। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মাধব বলরাজার আশ্রয়ে বড় হতে থাকে। বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়া রাজার অপরূপ সুন্দরী কন্যা মালঞ্চী সুদর্শন মাধবের প্রেমে পড়ে। সে মাধবকে এক শর্ত দেয়। যদি সে এক রাতের মধ্যে মন পবনের নাও নিয়ে গুড়গুড়ি গাছের নিচে অপেক্ষা করতে পারে, তবে মালঞ্চী বাবার রাজত্ব ছেড়ে চলে আসবে। শর্তে রাজি হয় মাধব, কিন্তু বিচ্ছেদের সুর থেকেই যায়। মাধবকে হারিয়ে ফেলে মালঞ্চী। পুরুষের রূপ ধরে সিপাহি সেজে দেশবিদেশে মাধবকে খুঁজে বেড়ায়। খুঁজতে খুঁজতে বুইট্রাল রাজার রাজত্বে চাকরি নেয়। রাজা সিপাহিবেশী মালঞ্চীর কাছে রাজকন্যাকে সঁপে দিতে চায়। মালঞ্চী আরেক সংকটে পড়ে যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় কাহিনি।
নৃত্যের ছন্দময় মুদ্রায় অনন্য শিল্পকলা একাডেমি : ব্যাকরণগত শাস্ত্রীয় নাচের শৈল্পিকতায় শিল্পকলা একাডেমিজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতা। অনন্য পরিবেশনার দর্শকদের বিমোহিত করেন শিল্পীরা। আর দর্শক শ্রোতারাও শিল্পীদের প্রতি ছুড়ে দেন প্রশংসার করতালি। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে গতকাল এমন দৃশ্যকল্পই ছিল বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত সাত দিনের নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের আসরে। লোকনৃত্য, সাধারণ নৃত্য, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, সেমি ক্লাসিক্যাল নাচসহ বিভিন্ন নাচে মুগ্ধ করেন রাজধানী ও সারা দেশের নৃত্যশিল্পীরা। এদিনের আয়োজনে নৃত্য পরিবেশন করে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, বৃত্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নাচের পুতুল, স্পন্দন একাডেমি, নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি, আঙ্গিকাম, পার্থ সারথি কলাকেন্দ্র নোয়াখালী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, বৃন্দ নৃত্যাঙ্গন, ছন্দধ্বনি সাংস্কৃতিক একাডেমি, ঐক্য জিৎ সংগীত একাডেমি, জিনিয়া নৃত্যকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের নৃত্যশিল্পীরা।২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। সারা বিশ্বে ওইদিন উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটি সামনে রেখে ২৩ এপ্রিল শুরু হয় সাত দিনের এই নৃত্য উৎসব। ২৯ এপ্রিল শেষ হবে সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব।