শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে করতোয়া

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে করতোয়া

বগুড়ায় খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে করতোয়া নদী। এর মধ্য দিয়ে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। এতে করতোয়া নদীর পানিপ্রবাহ যেমন স্বচ্ছ হবে, তেমনি হারানো যৌবন ফিরবে। এরই মধ্যে ২২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

জানা যায়, বগুড়া অংশে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা থেকে সদর উপজেলার নওদাপাড়া পর্যন্ত এ খনন কাজ বিগত মার্চের ১৩ তারিখ শুরু হয়। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় করতোয়া নদী পুনঃখনন ও ডান তীরে স্লোপ প্রটেকশন কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে পাউবো। বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখছে বগুড়ার করতোয়া নদী খনন প্রকল্প। এতে শহর অংশে ১৭ কিলোমিটার খনন, এসপি ব্রিজ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত ৭৩৫ মিটার নদীতীর রক্ষা কাজের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। এ ছাড়া সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন হবে নদীর ডান তীর। এ ছাড়াও করতোয়া নদী খনন সম্পন্ন হলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে এ অঞ্চলের মানুষ মৎস্য আহরণ করতে পারবে। স্থানীয় কৃষকরা সময়মতো কৃষি জমিতে সেচ দিতে পারবে। সবমিলিয়ে বগুড়ার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, ইতোমধ্যেই ২২ শতাংশ খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে, মাত্র ১৭ কিলোমিটার অংশ খনন করে পুরো নদীর নাব্য ফেরানো সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসন ভবনের পেছন থেকে এসপি ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত ৭৩৫ মিটার স্ল্যাবিংয়ের পাশাপাশি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে দুই পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। নদী খননে অগ্নিনির্বাপণের পানি সরবরাহের জলাধারসহ কৃষি উৎপাদন এবং মৎস্যচাষে সুবিধা পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, করতোয়ার বদলে যাওয়া রূপ দেখার প্রত্যাশায় এখন শহরবাসী। নদীর দখল দূষণ শহর অংশেই বেশি। যে কারণে আমরা শহর অংশটুকুর কাজ প্রথমে শুরু করেছি। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মধ্যেই বড় প্রকল্পের কাজও শুরু করতে পারব। খননকাজ শেষ হলে এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান হবে। কৃষি জমিতে পানি আটকে থাকবে না। তিনি আরও জানান, যে করতোয়া নদী ঘিরে এতকাল অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সেই নদীর সৌন্দর্য দেখার জন্য বাইরে থেকে লোকজন আসবে। সৌন্দর্যের নদী ঘিরে বগুড়া নগরী আরও আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে। ডেল্টা পরিকল্পনায় করতোয়া নদীকে ঘিরে যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে তার সঙ্গে বর্তমান প্রকল্পটি সংযুক্ত হবে। যার ফলে করতোয়া নদী তার প্রাণ ফিরে পাবে।

 

সর্বশেষ খবর