সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

কৃষ্ণচূড়ায় মন কাড়ছে পথিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

কৃষ্ণচূড়ায় মন কাড়ছে পথিকের

বগুড়ায় কৃষ্ণচূড়ার ফুলে মন কাড়ছে পথচারীদের। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন জানান দিচ্ছে তার সৌন্দর্যের বার্তা। গ্রীষ্মের নিস্প্রান রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া মেলে ধরছে আপন মহিমায়।

জানা যায়, বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার অফিস-আদালত ও বড় সড়কের পাশে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি। চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। গ্রীষ্মের ছোঁয়া লাগার পর থেকেই প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া ফুল অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে। পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন লাল রঙের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম আভা ছড়ানোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরূপ করে। সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠলেও তার শাখা-প্রশাখা বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত থাকে। পাঁপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। প্রতিটি পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০ থেকে ৪০টি উপপত্র বিশিষ্ট।  গ্রীষ্মজুড়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখলেও অন্যান্য সময়গুলোতে এ বৃক্ষের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। বগুড়ায় একসময় কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের প্রচুর দেখা মিলত। প্রতিবছর এই গ্রীষ্মে ফুল ফুটে প্রকৃতিতে শোভাবর্ধন করত। কালের আবর্তে সেই কৃষ্ণচূড়ার গাছ এখন অনেকটাই কমে গেছে। তারপরও বগুড়া শহরের সাতমাথা (প্রধান ডাকঘরের সামনে), সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস, ফুলবাড়ি, কলোনি, বনানী, মালতীনগর, চেলোপাড়া, সেউজগাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে। কবি শাহীনুর রহমান জানান, অপরূপ শোভায় শোভিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। যে কাউকে আকৃষ্ট করছে সড়কগুলো। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বগুড়ায় আরও বেশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করতে হবে। জেলা কৃষি কর্মকর্তরা জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিলছে কৃষ্ণচূড়া। এসব গাছের যত্ন নেওয়া হলে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য আরও বাড়বে।

সর্বশেষ খবর