শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা (৩৭)। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। আসামি গুলশান আরার আইনজীবী আল-মামুন রাসেল বলেন, হারিয়ে যাওয়া সিমের কারণে শাশুড়ির করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছিল। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী নাজমা বেগমের (৫৫) মেয়ে সাবরিনা হাসান স্বর্ণার (১৮) ছবি অনুমতি ছাড়া আসামি গুলশান আরা সংগ্রহ করে তা এডিট করে নগ্ন করেন। সেই ছবিগুলো ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের বান্ধবী সুমাইয়ার কাছে পাঠান আসামি গুলশান আরা। এ সময় ছবিগুলো ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানির হুমকি দেন তিনি। পরে বাদী আসামির বাসায় গিয়ে তার ফেসবুক আইডি চেক করে দেখতে পান বাদীর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে এডিট করা নগ্ন ছবি পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা করেন নাজমা বেগম। মামলাটি তদন্ত শেষে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল পারভেজ আসামি গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ৩০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।