টানা দাবদাহে দুর্ভোগে প্রাণিকুল। ভ্যাপসা গরমে মানুষের পাশাপাশি ভালো নেই বোবা প্রাণীও। তীব্র দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে রাস্তায় অথবা ফুটপাতে জমে থাকা নোংরা পানির মধ্যে সময় কাটাতে দেখা গেছে প্রাণীদের। গবাদিপশু পুকুর কিংবা ডোবায় নেমে শরীর ভাসিয়ে দিচ্ছে। গৃহপালিত পশু-পাখি, হাঁস, মুরগি, পাখিরা রয়েছে চরম অস্বস্তিতে। তাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতাসহ নানা রোগ। অধিকাংশ প্রাণীর মাঝে আচরণগত পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার বীরগঞ্জ উপজেলার মেহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ি মন্ডলপাড়ার পুকুরে স্থানীয় গোলাবাবু রহমানের মহিষগুলো পানিতে শরীর ভাসিয়ে দিতে দেখা যায়। এ অবস্থা বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলেও। বীরগঞ্জের পরিবেশপ্রেমী সোহেল আহমেদ জানান, তীব্র দাবদাহে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় গবাদিপশু ও পাখিদের নাজুক অবস্থা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শহরের ফুটপাতে থাকা বেওয়ারিশ কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণী। প্রকৃতির এই বৈরিতায় তাদের পাশে কেউ নেই। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সমাজের মানবিক মানুষদের এগিয়ে আসা দরকার।

বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওসমান গণি বলেন, তীব্র দাবদাহে করণীয় বিষয়ে লিফলেট তৈরি করে বিতরণ করা হয়েছে। খামারিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে গবাদিপশুর যত্নে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে চলমান প্রশিক্ষণে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পশুপাখিদের বিচরণ রয়েছে- এমন এলাকায় ছায়াযুক্ত জায়গায় পানি রাখতে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। যদি সম্ভব হয় সেই পানিতে লেবুর রস দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আগামী কোরবানিকে কেন্দ্র করে গরু, মহিষ এবং ছাগল খামারিদের খামারে ফ্যানের পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে বাতাস প্রবেশ করে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে দ্রুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।