শিরোনাম
বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজধানী রেঙেছে কৃষ্ণচূড়ায়

সাইফ ইমন

রাজধানী রেঙেছে কৃষ্ণচূড়ায়

‘গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে/ তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি।’ ফুলের পরিপূরক যে আর কিছুই নেই তা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় স্পষ্ট। কিংবা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কৃষ্ণচূড়া নিয়ে লিখেছেন, ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে/ আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে।’ রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের সেই কৃষ্ণচূড়ার রঙে রেঙেছে রাজধানী ঢাকা।

গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের উত্তাপ ছাপিয়ে নগরবাসীর চোখে প্রশান্তি দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার লাল। নিষ্প্রাণ চারদিকে সবুজ পাতার ডগায় উজ্জ্বল কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিতে এনেছে ভিন্ন আমেজ। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষণে ক্ষণে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগর ভবনের সামনে, পুলিশ লাইন, মগবাজার, এফডিসি মোড়, খিলক্ষেত, দোয়েল চত্বর, টিএসসিসহ নানা এলাকায় গাছে গাছে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। এর বাইরে রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যানের ভিতরেও গাছে গাছে ফুটে আছে ফুল।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Delonix regia। বাংলাদেশে এই গাছকে কৃষ্ণচূড়া বলা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এটি ‘গুলমোহর’ নামেও পরিচিত। নিসর্গপ্রেমীদের দারুণভাবে মোহিত করে এই ফুল। বাহারি এ ফুলের আগুন লাগানো সৌন্দর্য প্রকৃতিতে এনেছে উচ্ছলতা। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে প্রকৃতিকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আদিনিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপে। মাদাগাস্কারের শুষ্কপত্র ঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে এ ফুল পাওয়া যায়। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এ গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। আমাদের দেশে সাধারণত এপ্রিল-জুন সময়কালে এ ফুল ফুটলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি ফোটার সময় আলাদা। মোহনীয় সৌন্দর্যের কারণে লেখক, কবির কলম বা শিল্পীর কণ্ঠে কৃষ্ণচূড়ার কথা এসেছে বারংবার। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান, ‘এই সেই কৃষ্ণচূড়া, যার তলে দাঁড়িয়ে হাতে হাত রেখে...।’ অথবা ‘কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে...’ এমন গানও আছে।

সর্বশেষ খবর