কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার টঙ্গিপাড়া গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন। সত্তরোর্ধ্ব এই কৃষক বাড়িতে ও নিজের জমিতে ধান, ভুট্টাসহ প্রয়োজনীয় শাকসবজি উৎপাদন করেন। অর্গানিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করায় ১৫ বছর ধরে তাকে কোনো ওষুধ খেতে হয় না। কালো আলু আর আধামণের কুমড়া দেখে মুগ্ধ কৃষক।

গতকাল কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন হয়। মেলায় স্টল পরিদর্শন করতে আসেন ওই কৃষক। শাসনগাছা কার্যালয় আঙিনায় আয়োজিত মেলায় বিল্লাল হোসেনের মতো অন্য কিষান-কিষানিরাও ভিড় করেন। বিল্লাল হোসেন জানান, আমি অনেক ফসলের আবাদ করেছি। মেলায় স্টল প্রদর্শন করে কালো রঙের (কালো ও বেগুনির মাঝামাঝি) আলু এবং প্রায় আধামণ ওজনের কুমড়া দেখে ভালো লেগেছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভবিষ্যতে আমি এ দুটি সবজি আবাদ করব। মেলায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আম, কাঁঠাল, পাকা তাল, কুমড়া, নানা জাতের আলু, নতুন জাতের ধান, মধু, মাশরুমসহ কৃষি যন্ত্রপাতি স্তরে স্তরে সাজানো আছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত কৃষকরা এসব প্রদর্শনী দেখছেন। অনেক কৃষক নতুন জাতের উচ্চফলনশীল ফসল চাষের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মেলায় স্বল্প জীবনকালীন ধানের প্রদর্শনী দিয়েছেন দেবিদ্বারের কৃষক রফিক আহমেদ। রফিক আহমেদ বলেন, মেলায় বিনা-২৫সহ অনেক স্বল্প জীবনকালীন ধানের প্রদর্শনী দিয়েছি। মেলায় এসে নিজেও নানা কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. আইউব মাহমুদ জানান, মেলায় ১৬টি স্টল রয়েছে। মেলাটি ২ মে পর্যন্ত চলবে।