বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরমে হাতপাখার কদর বেড়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি

গরমে হাতপাখার কদর বেড়েছে

বাঙালি লোকায়ত সংস্কৃতির অন্যতম উপকরণ হাত পাখা। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গাতেই রয়েছে হাত পাখার কদর। গ্রীষ্মের খরতাপ থেকে শরীরকে শীতল রাখতে শত শত বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে হাতপাখা। প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। বেলা ১০টার পর বাইরে বেরোতে পারছেন না লোকজন। এই গরমে ঘরে বসে থাকার কোনো উপায় নেই। বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ অবস্থায় হাতপাখার কদর বেড়েছে সর্বত্র- বাড়িঘর, দোকানপাট, চলতি পথ, বাস, ট্রেন ইত্যাদি।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার গৃহবধূ সাফিয়া বেগম বলেন, বাড়িতে বসে না থেকে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছি। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেশি। তার মতো এলাকার অনেকেই এ কাজ করে ভালো টাকা আয় করছেন। হাতপাখা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর গরম মৌসুমে বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতপাখা বিক্রি করি। এ বছর বেশি বিক্রি হচ্ছে। কারণ প্রচণ্ড রোদে পাখার চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। লোডশেডিং আর প্রচণ্ড গরমের কারণে শহর-গ্রাম সর্বত্রই হাতপাখার কদর বেড়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং বেশি হওয়ায় গ্রামগঞ্জে হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি। প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে পাতপাখার চহিদা। বাজারে নানান ধরনের পাখা বিক্রি বেড়েছে। তালপাতার পাখা, রঙিন সুতার পাখা, রঙিন কাপড়ের পাখা মিলছে ৫০-২০০ টাকায়।

ডিমলা সদর ইউনিয়নের পাটুয়ারী গ্রামের গৃহবধূ রাশিদা বেগম বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের কোনো উপায় নেই। তবে একটু বেশি সময়ে হাতপাখা নাড়াতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নেই। তাই হাত পাখার বিকল্প কিছু নেই।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে এই জনপদে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়ার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর