বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
রাজশাহী সিটি করপোরেশন

৭৮ কোটি টাকায় দুই মার্কেট নির্মাণের কাজ পেল মজিদ সন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

একযুগ আগে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে শালবাগান ও ভদ্র্রা বাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। দীর্ঘ সময়ে দুটি কাজের একটিও সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আগের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে রাসিক। এবার দুটি কাজই পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। এবার আর পিপিপির ভিত্তিতে নয়, নিজেদের অর্থায়নেই শালবাগান ও ভদ্রায় কিচেন মার্কেট নির্মাণের কাজ করবে রাসিক। রাসিক প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরীজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পিপিপির ভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত নেন। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে পুরাতন সিটি ভবন ভেঙে সেখানে বহুতল সিটি সেন্টার, নগর ভবন সংলগ্ন এলাকায় স্বপ্নচূড়া ও দারুচিনি প্লাজার নির্মাণকাজ করার জন্য পিপিপির ভিত্তিতে চুক্তি হয়। সিটি সেন্টারের কাজ পায় সাবেক এমপি এনামুল হকের মালিকানাধীন এনা প্রোপার্টিজ। বাকি দুটি কাজ পায় শামসুজ্জামান জেভি। ২০১১ সালে একটি ক্লিনিক ও আরও ৭টি বহুতল মার্কেট পিপিপির ভিত্তিতে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাসিক। এগুলোর মধ্যে ছিল শালবাগান ও ভদ্রায় বহুতল কিচেন মার্কেট। রাসিকের পক্ষ থেকে পিপিপির ভিত্তিতে এসব মার্কেট নির্মাণে আগ্রহীদের কাছ থেকে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে। কাজ দুটি তারাই পায়। সে অনুযায়ী শালবাগানে ৪৭ দশমিক ৫৯ কাঠা জমির ওপরে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলা শালবন মার্কেট নির্মাণ করার কাজ পায় মেসার্স কবির হোসেন। আর ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভদ্রায় মার্কেট নির্মাণের কাজ পায় শামসুজ্জামান-জেভি। এর মধ্যে ভদ্রায় মার্কেট নির্মাণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও শালবাগানে কাজ শুরু হয়নি। ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে চার বছরের মধ্যেই সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে শালবাগান ও ভদ্রা বাজার দুটি নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ক্রয় পরিকল্পনা শিরোনামে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভদ্রা ও শালবাগানে দুটি আলাদা তিনতলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে। রাসিক সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল এ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের জন্য ইওআই আহ্বান করা হয়। পরামর্শক নিয়োগের পর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়, যাতে দুটি মার্কেট নির্মাণের কাজ পায় রূপপুর বালিশকাণ্ডের বিতর্কিত ঠিকাদার মজিদ সন্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম পিপিপির ভিত্তিতে দুই মার্কেট নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব তো আমি দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগের কথা। তবে যতটুকু জানি যে, ওই সময় এ রকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওইসব ঠিকাদারকে পাইনি। সে কারণে আমরা ওগুলো বাতিল করে দিয়েছি।

 

 

 

সর্বশেষ খবর