শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যাংক ধ্বংসে দায়ীরা পার পেয়ে যাবে

--- জাহিদ হোসেন

ব্যাংক ধ্বংসে দায়ীরা পার পেয়ে যাবে

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতের উন্নতি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনায় বড় ধরনের গরমিল রয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ঋণখেলাপিদের বেল আউট দিতে পথ সহজ করার পদ্ধতি হচ্ছে ব্যাংক মার্জার। ব্যাংক মালিকরা যারা ব্যাংক চালাতে পারেননি বরং কীভাবে লুট করা যায় সেটা করেছেন তাদের মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের প্রথম পরিকল্পনা ছিল চার শ্রেণিতে বিভক্ত করে ব্যাংকগুলোর সূচক নির্ধারণ করা হবে। এক বছর সময় দিয়ে চার নম্বর ক্যাটাগরিতে থাকা ব্যাংকগুলোর আর্থিক বিবরণী মোতাবেক ২০২৫ সালে মার্জ করা বা প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো। এখন হঠাৎ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউ চাইলে মার্জ হতে পারবে বলে ঘোষণা করা হলো। সেটি হলে কারও কোনো মধ্যস্থতার দরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হলো- তারা অডিটর নিয়োগ দিয়ে সম্পদের হিসাব করবে। এগুলো কোনোটার সঙ্গে কোনো মিল নেই। তারা যা করতে চাচ্ছে সেটি এক ধরনের ভুল নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বলা যায়, এর পুরোটা বিভ্রান্তিমূলক। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জাহিদ হোসেন বলেন, শুরুটাই সঠিকভাবে করা হয়নি। ফলে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের কথা ও কাজে বিভ্রান্তি আছে। আর ঋণখেলাপিরা যদি বেলআউট পায় তা তো জানাতে হবে। এভাবে সব ঋণখেলাপিকে তো ব্যাংক মার্জারের নামে বেলআউট দেওয়া যায় না। পুরো বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে লাভ-ক্ষতির হিসাব করে করতে হবে। এভাবে অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয় এটি নয়। সাধারণত একীভূত করা মানে, ব্যাংকটিকে রক্ষা করার শেষ চেষ্টা। কোনো ব্যাংক যদি এতে রাজি না হয়, তাহলে তার শেষ পরিণতি হতে পারে বন্ধ হয়ে যাওয়া। না হলে বিদ্যমান ম্যানেজমেন্ট ঠিক করতে হবে। কাজ না হলে বোর্ডটাকেও বদলানোর কথা ভাবতে হবে। সেটাও কাজ না করলে মার্জ। এক্ষেত্রে মার্জে আগ্রহী না হলে শেষমেশ ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর