শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

খুলনায় ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিস্টাল মেথ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় আবারও বিপজ্জনক ক্রিস্টাল মেথসহ মাদক কারবারিরা গ্রেফতার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ১ মে পুলিশের অভিযানে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবাসহ পাঁচজন মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে খুলনা ও সাতক্ষীরায় পুলিশ-বিজিবির আলাদা অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার হয়।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, খুলনায় পুলিশের ধারাবাহিক মাদকবিরোধী তৎপরতা থাকলেও মাদক নির্মূল করা যায়নি। উপরন্তু ইয়াবার পাশাপাশি হেলুসিনেটিক ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ ও  ‘ক্রিস্টাল মেথ’ নামের মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। তারা প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। দুই মাসে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ। úুলিশ জানায়, উত্তেজনাকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ স্বচ্ছ পাথরের মতো নীলাভ সাদা। ইয়াবার চেয়েও তা অনেক বেশি ক্ষতিকর। খুলনায় গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথসহ শান্ত মোল্লা (১৯), সাইদুল ইসলাম (২৩), মাজেদুল ইসলামসহ (২৮) পাঁচজন গ্রেফতার হয়। তরুণ যুবকরাই ক্রিস্টাল মেথে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে হেলুসিনেটিক ডেভিলস ব্রেথ রয়েছে খুলনার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের হাতে। এ ছাড়া পথচারীদের টার্গেট করে তাদের মূল্যবান মালামালসহ টাকা পয়সা ছিনিয়েও নিচ্ছে চক্রটি।

 বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, মামলার দীর্ঘসূত্রতায় অপরাধ করার পরও অনেকের শাস্তি হয় না। পুলিশ শুধু মাদক কারবারিদের গ্রেফতারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু তাদের শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে না, কিছুদিনের মধ্যে তারা ছাড়া পেয়ে একই পেশায় ফিরে যায়। কীভাবে অপরাধের মূলোৎপাটন করা যায় ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক মাদক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায়। অপরাধের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য শাস্তি নিশ্চিতসহ সামাজিক-পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা প্রয়োজন। এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে পুরোপুরি নির্মূল পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ সহায়তা প্রয়োজন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরোটলারেন্স নীতি রয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকা  কমাতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর