শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আবহাওয়া

দাবদাহে ভোরে কুয়াশা!

পাবনা প্রতিনিধি

দাবদাহে ভোরে কুয়াশা!

পাবনায় তীব্র দাবদাহ এবং বৈশাখের মাঝামাঝি হঠাৎ দেখা দিয়েছে কুয়াশা। গতকাল পাবনার ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভোরে এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই। তীব্র গরমে হঠাৎ এ ধরনের কুয়াশার দেখা মেলায় কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে কুয়াশা দেখে আতঙ্ক, বিস্ময়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা। পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, ভোরে নামাজ পড়ে রাস্তায় একটু হাঁটছিলাম। দেখি কুয়াশা, ঠান্ডার সময় যেভাবে কুয়াশা পড়ে তেমন। দিনের বেলা গরম, আবার ভোর বেলার কুয়াশা- বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তায় পড়ে যাই। আকস্মিকভাবে কুয়াশা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের সরদারপাড়া এলাকার মানিক তালুকদার। তিনি বলেন, এ জীবনে আর কত কী দেখব। আগে শীতের সময় কুয়াশা দেখতে পেতাম, এখন তো গরমের সময়ও কুয়াশা দেখতে পাচ্ছি। পরিবেশের যে কী হচ্ছে তা নিজেও বুঝতে পারছি না বলে তিনি জানান। তবে গরমকালে কুয়াশার দেখা মেলায় জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন। তিনি বলেন, ভোরের দিকে সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে থাকা ওই অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প কুয়াশার মতো করে ভাসতে থাকে, যা দেখে নিচু মেঘের মতো মনে হয়েছে। গরমকালে এটি কীভাবে হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতের আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় ভূপৃষ্ঠ খুব ঠান্ডা হয়। তাপ বিকিরণ করে ভোর থেকে সকাল ৮টার মধ্যে তাপমাত্রা দ্রুত কমে ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে আসে। এ তাপমাত্রা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া তৈরি করে। এ ছাড়া যেখানে তাপমাত্রার ওঠানামা বেশি, সেখানেই কুয়াশা তৈরির সুযোগ বেশি থাকে। তিনি আরও জানান, এ ছাড়া বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেশি এবং দক্ষিণা বাতাস অনেক কম থাকাটাও এটির একটা বড় কারণ। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। এতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। বরং এতে আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসলের ফলন ভালো হবে। অন্যদিকে রোদের প্রখরতা আছে। তাই পরিবেশে এ উষ্ণতা দেখা যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর