শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরমে চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ফলের জুসের বিকল্প নেই। এতে তৃষ্ণা যেমন মেটে, তেমনি গরমে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও মেটে। তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠছেন তখনই পথের ধারে খুঁজে নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস। তবে রাজধানীতে বিদেশি ফলের তুলনায় দেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে।

গতকাল সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে জুস বিক্রেতারা জানান, দেশি ফল রসালো বেশি। যার ফলে ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট হয়। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। বেসরকারি চাকরিজীবী সবুজ নামের এক ক্রেতা বলেন, কম দামের মধ্যে দেশি ফল আমাদের জন্য ভালো অপশন। আখের জুস ২০ টাকায় পাওয়া যায়। আনারস ৩০ টাকা পিস পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে পিস করা তরমুজ ২০ টাকায়, পেঁপের প্লেট ২০ টাকায় পাওয়া যায়। এতে আমাদের যেমন তৃষ্ণা মেটে, তেমনি গরমে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও মেটে। এ ছাড়া বিদেশি ফলের দাম বাড়তির কারণে কম খাওয়া হয়। আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, এ গরমে শরীর ঠিক রাখতে শরবত খাওয়া দরকার। কমলা, অফঙুর এগুলো দিয়ে শরবত ভালো হলেও আমাদের কেনার সামর্থ্য নেই। এগুলো আমাদের জন্য বিলাসী পণ্য। তাই মাঝেমধ্যে তরমুজ, পেঁপে কিনে নিয়ে যাই পরিবারের জন্য। রাজধানীর বাজারের বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে দেশি ফলের মধ্যে আকার ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৬০ টাকা, বেল ২০ থেকে ২০০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, বাঙ্গি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, ডাব ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাঁঠাল ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাঁচা আম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা আম প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২৬০ টাকা, সফেদা ১২০ টাকা, আতা ২৫০ টাকা ও তেঁতুল ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি ফলের মধ্যে প্রতি কেজি মাল্টা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, নাশপতি ২৬০ টাকা, ডালিম ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, সাদা আঙুর ৩০০ টাকা, কালো আঙুর ৪৫০ টাকা, সাউথ আফ্রিকার কমলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ফুজি আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ড্রাগন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা রফিকুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদেশি ফলের তুলনায় দেশি ফলের চাহিদা ভালো। কারণ বিদেশি ফলের দাম মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে নেই। তাই দেশি ফল দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে বিদেশি ফল যে একেবারেই বিক্রি হয় না, তা নয়। যে যার রুচি মতো কেনে। এখন দেশি মৌসুমি ফল কম। কয়েকদিন পর আম, জাম, কাঁঠালের মতো মৌসুমি ফল এলে দেশি ফলের চাহিদা আরও বাড়বে। ক্রেতারা বলছেন, দেশি ফলেরই যে দাম তাতে বিদেশি ফলের দিকে হাত দেওয়াই কঠিন। তাই নিরুপায় হয়ে দেশি ফল দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছেন তারা।

সর্বশেষ খবর