শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে মিশ্র ফল চাষে সাফল্য

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পাহাড়ে মিশ্র ফল চাষে সাফল্য

পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে দেশি-বিদেশি ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে মিশ্র চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন নারী উদ্যোক্তা তানিয়া আশরাফ ইসলাম। ইটপাথরের নগরীতে লেখাপড়া আর বিলাসী জীবনযাপনে বেড়ে ওঠা হলেও একজন নারী কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বিশাল পাহাড়টিলায় বিদেশি ফল ড্রাগন এবং নানা প্রজাতির ফলদ বাগান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তানিয়া। নিজের শখ আর স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি  দুর্গম এ জনপদে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ও মিশ্র ফলদ বাগান গড়ে তোলার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন উপজেলার তিনটহরী এলাকার বাসিন্দা এ সাহসী নারী উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে উপজেলার বড়টিলা এলাকায় লিজ নেওয়া ৩ একর টিলাভূমিতে গড়ে তোলেন ড্রাগনের বাগান। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ১ হাজার পিলারে লাগানো ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ থেকে ইতোমধ্যে ফলন তুলেছেন বেশ কয়েকবার। এদিকে কুমারী এলাকায় নিজ ভূমির ১৩ একর পাহাড়ে বিশাল পরিসরে ৮ হাজার ড্রাগনের চারা, কিউজাই, কিংচাকাপাত, ব্যানানা ও সূর্যডিমসহ নানা জাতের আম, লিচু, বরই, মাল্টা, কমলা, এবোকাডো, রামবুটান, থাই লংগান, সফেদা ও আতাফলসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের মিশ্র চাষাবাদ শুরু করেছেন। আর এ বাগানকে একটি বহুমুখী বাণিজ্যিক বাগানে রূপ  দেওয়ার পাশাপাশি ‘হিল টপ গ্রোভস অ্যান্ড ইকো রিসোর্ট লিমিটেড’ নামে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন এ নারী। তানিয়া জানান, পাহাড়ি মাটিতে ড্রাগনসহ উৎপাদিত ফলের সুমিষ্টতা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়েও অনেক বেশি। অর্গানিক ড্রাগন কখনো ৩০০-৪০০ গ্রামের বেশি হবে না জানিয়ে আরও বলেন, কেবল টনিক বা হরমোন ব্যবহারে ড্রাগন ৫০০ গ্রামের ঊর্ধ্বে হতে পারে। তবে এতটা সুস্বাদু হবে না।

সর্বশেষ খবর