শিরোনাম
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

খেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

খেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

চট্টগ্রামে খেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো। সারি সারি গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। বাজারে চাহিদানুযায়ী দাম না পাওয়ায় খেত থেকে টমেটো তুলছেন না কৃষক। খেত থেকে বিক্রির জন্য টমেটো নিয়ে যেতে যে খরচ পড়ছে, এক মণ টমেটো বিক্রি করেও সে খরচ উঠানো যাচ্ছে না। অন্য সবজিরও চাহিদানুযায়ী মিলছে না দাম। যদি সংরক্ষণাগার (হিমাগার) থাকত তাহলে লোকসান হতো না। সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ বলেন, তীব্র গরমে টমেটো নষ্ট হয়েছিল। তবে বৃষ্টির পর স্বস্তি মিলেছে। হিমাগারের বিষয়টি আসলে উচ্চ পর্যায়ের বিষয়।

আলু ছাড়া অন্য কোনো সবজির জন্য হিমাগারের ব্যবস্থা নেই। টমেটো ও অন্যান্য সবজি হিমাগারে রাখলে তা কতটুকু ঠিক থাকবে- সেটি বিবেচনার বিষয়। এ ছাড়া হিমাগারে রাখলে যে খরচ পড়বে, টমেটো বিক্রি করে সে খরচ সংশ্লিষ্টরা পাবে কি না- সন্দেহ আছে। তবে বিভিন্ন সবজির জন্য হিমাগার থাকলে বিভিন্ন দুর্যোগে তা সংরক্ষণ করা যাবে।

কৃষকরা জানান, সীতাকুন্ড উপজেলায় ১২ মাস বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব সবজি সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। উপজেলায় মাঠের পর মাঠ শুধু টমেটো, বরবটি, করলা, লাউ, ঢ্যাঁড়শ খেত। ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। প্রতি বছর সীতাকুন্ড উপজেলার মধ্যে বারৈয়ারঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সবজি চাষ হয়।

সবচেয়ে বেশি ফলন হয় টমেটোর। চলতি বছর তীব্র গরমে দ্রুত পেকে গেছে টমেটো। এসব টমেটো মাঠ থেকে তুলে বাজারে নিয়ে গেলেও মিলছে না চাহিদানুযায়ী মূল্য। ফলে মাঠ থেকে টমেটো তোলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষক।

সর্বশেষ খবর