রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে তুলে নিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর স্থানীয়রা গোদাগাড়ীর প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল মেরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অবরুদ্ধ এএসআইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণের শিকার ওই যুবকের নাম সোহান। তিনি গোগ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মুর্ত্তজার ছেলে। মুক্ত হওয়ার পর সোহান জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। কিছু দূর যাওয়ার পর তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। এরপর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা বলে, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দেব।’ এ সময় আমার ফোনে বারবার কল আসছিল। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান।

মজিবুর রহমান বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছে সোহানকে ফেরত চান। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ওসি আবদুল মতিন। এরপর তারা সোহানকে ছেড়ে দেন।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুুল মতিন বলেন, কারা সোহানকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।