সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাত দাবি হেফাজতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামবিরোধী, কোরআনবিরোধী, বিবর্তনবাদ, ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ বিতর্কিত সব পাঠ্যরচনা বাদ দেওয়াসহ শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সাত দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 

গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলায়তনে আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় শিক্ষা ক্যারিকুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সেমিনারের এসব দাবিনামা পেশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। দাবিনামা পেশ করেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।

সেমিনারে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমাদের জাতীয় পাঠ্যবই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হচ্ছে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কোনো জাতিকে পরাজিত করতে হলে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করাই যথেষ্ট। বিধর্মী ও মুশরিকদের চোখে আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ যে, আমরা মুসলিম। আমাদের ঈমান ও মুসলিম পরিচয়কে তারা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চায়। সে জন্যই আমাদের ধ্বংস করার প্রথম ধাপ হিসেবে ‘হিন্দুত্ববাদীরা’ আমাদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তককে টার্গেট করেছে। তাদের ষড়যন্ত্রেই আজকে স্কুল-কলেজ ও সরকারি মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকের এই বেহাল দশা।

সেমিনারে পেশ করা সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শাখায় ইসলামী শিক্ষা আবশ্যিক বিষয় হিসেবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।  দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ‘ইসলামী শিক্ষা বিষয়’ পুনর্বহাল করা। বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কোরআনবিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সব পাঠ্যরচনা পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে অপসারণ। আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষায় পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান। ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনঃসংস্করণ করা এবং ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। সেমিনারে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর