মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ক্লোজ ৯ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এক কৃষককে আটক করে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের এক আদেশে তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই সত্যব্রত সরকার, আকরামুজ্জামান, এএসআই আবদুল করিম মিন্টু, মঞ্জুরুল ইসলাম ও রঞ্জু আহমেদ। এর আগে রবিবার বিকালে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী মোর্ত্তজা আলীর ছেলে সোহানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এর পর রবিবার সন্ধ্যায় তাদের প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি। গোদাগাড়ী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ৭টার দিকে গোদাগাড়ী থানার পাঁচ পুলিশ চরআষাড়িয়াদহ গ্রামে গিয়ে আবদুস সামাদ নামের এক কৃষককে আটক করে। তার বাড়ি গোদাগাড়ী থানার সীমান্ত সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামে।

আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে সামাদকে জানিয়ে হাতকড়া পরানো হয়। এর পর তাকে একটি ফাঁকা মাঠে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। রাত ১টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা নগদ ২ লাখ টাকা দিয়ে আবদুস সামাদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। রবিবার বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ সুপারের নজরে আসে এবং প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এর পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন পুলিশ সুপার। এর আগে রবিবার বিকালে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী মোর্ত্তজা আলীর ছেলে সোহানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এরা হলেন- প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রেজাউল করিম, এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। তাদেরও প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, আলাদা দুটি ঘটনায় এক দিনে নয়জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার তারা সবাই থানা থেকে ছাড়পত্র নিয়ে পুলিশ লাইনে রিপোর্ট করেছেন।

সর্বশেষ খবর