মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
হাই কোর্টকে জানাল মন্ত্রণালয়

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আইনি লড়াই করবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই করবে বাংলাদেশ। এজন্য আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে হাই কোর্টকে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরে আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এফিডেফিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভৌগোলিক শনাক্তকরণ (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের দুটি আলাদা তালিকা প্রস্তুত করে ১৯ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্ট।

একই সঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। হাই কোর্টের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি করা হয়। যেটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে উপস্থাপন করা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়-বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাই কমিশন, নয়াদিল্লি কর্তৃক ভারতের সংশ্লিষ্ট উচ্চ আদালত/রেজিস্ট্রার বরাবর বাতিল আবেদন দাখিল করার জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই একটি ল ফার্ম নিয়োগ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য জরুরি সভা আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ সভায় মাসুন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে মামলা পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া জিআই পণ্যের তালিকায় দেখা গেছে, ৬৪ জেলার মধ্যে ১৫০টি পণ্য সম্ভাব্য এবং ৩৪টি পণ্য নিবন্ধিত হয়েছে।

সম্প্রতি কয়েক শ বছরের পুরনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়। ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। তখনই দেশি জিআই পণ্যের তালিকা করার বিষয়টি সামনে আসে।

এটি নিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট করেন আইনজীবী।

সর্বশেষ খবর