বুধবার, ৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শঠি ফুল

নজরুল মৃধা, রংপুর

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শঠি ফুল

অপার সৌন্দর্য মেলে ধরেছে অযত্ন আর অবহেলায় জন্ম নেওয়া শঠি ফুল। কষ্টসহিষ্ণু গ্রীষ্মের ফুল এটি। গ্রামবাংলার পথেঘাটে এ ফুলের দেখা মেলে। এর সৌন্দর্য সবাইকে কাছে টানে। জানা গেছে, শঠি যেখানে জন্ম নেয় সেখানে ঝোপালো আকার ধারণ করে। একবার কন্দ থেকে চারাগাছ জন্ম নিলে চারা ও গাছের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। শঠি ফুলগাছ বেশ কষ্টসহিষ্ণু। রোগ ও পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে শঠিগাছ জন্মে। অনুর্বর আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে ও হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয়। একসময় শঠিগাছের পাতা গ্রামীণ জনপদে নানান কাজে ব্যবহার হতো। হাট কিংবা বাজার থেকে লবণ, গুড়, মাছ, শুঁটকিসহ বিভিন্ন পণ্য কেনা হলে বিক্রেতারা শঠি পাতায় তা বেঁধে দিত। শঠির সেই ঐতিহ্য না থাকলেও সৌন্দর্যের কোনো ঘাটতি হয়নি এখনো।

রংপুরের বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের ইনচার্জ কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না বলেন, শঠি অঞ্চলভেদে শটি, বনহলুদ, জংলি হলুদ, হুইড ইত্যাদি নামে পরিচিত। গাছ উচ্চতায় গড়ে ৩ থেকে ৪ ফুট হয়। পাতা বেশ বড়। রং সবুজ, অগ্রভাগ সুচালো, মধ্যশিরা স্পষ্ট। তবে পাতার অগ্রভাগের উপরি অংশ কিছুটা লালচে রঙের। গাছ দেখতে প্রায় হলুদ গাছের মতো। তবে শঠির কন্দমূল সাদা আর হলুদের কন্দমূল হলুদ। হলুদের পাতা চওড়ায় কম, শঠির পাতা চওড়ায় বেশি। শঠি গাছের জীবনকাল ৭-৮ মাস। ফুটন্ত ফুল লাল, গোলাপি-লাল, বেগুনি ও হলুদ আভায় মিশ্রিত। তাই সবার নজর কাড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর