নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে একসঙ্গে বিষপান করেছেন পিতা-মাতা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। অভিমানী ওই পিতা-মাতার নাম মো. আলম শেখ (৬০) ও তার স্ত্রী মোছা. নাজমা বেগম (৫০)। হাসপাতালে অসুস্থ আলম শেখ জানান, ‘তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। একমাত্র ছেলে মো. সবুজ শেখকে তার শেষ সম্বল সব জমিজমা লিখে দিয়েছিলেন। ছেলে তাকে কথা দিয়েছিল সংসারের সব দায়িত্ব এবং তার সব ঋণ পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু জমি লিখে নেওয়ার পর ছেলে তার কথা রাখেনি। এ দিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্ত নীরবে সহ্য করতে হতো তাকে। তাছাড়া ছেলে ও ছেলের বউ তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করত। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে তারা বিষপান করেন।’ ছেলে সবুজ শেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা বলেন, ‘তার চাচা-চাচি দুজনেই সুস্থ হলে পারিবারিক ভাবে বসে বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।’ গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. ¯িœগ্ধা আক্তার জানান, ‘বিষপান করে দুজন স্বামী-স্ত্রী ভর্তি হয়েছেন। দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’