শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিজ্ঞানসম্মত নয়, দুর্ঘটনা বৃদ্ধির শঙ্কা থাকবে

--- ড. শামসুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজ্ঞানসম্মত নয়, দুর্ঘটনা বৃদ্ধির শঙ্কা থাকবে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেছেন, বিজ্ঞান সমর্থন করলে মহাসড়কে যে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে গতির বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। একই সঙ্গে এটা প্রয়োগ করাও সম্ভব নয়। ফলে দুর্ঘটনা কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম শামসুল হক বলেন, দ্রুতগতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটে এটা মূলত আমাদের অনুমান ভিত্তিক চিন্তা। পুলিশ ও বিআরটিএও একইভাবে অনুমান করে নেয় গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে প্রকৃতপক্ষে দুর্ঘটনা ঘটে সড়কের বিশৃঙ্খলার জন্য। যেমন একই সড়কে বিভিন্ন ধরনের গতির যানবাহন চলাচল করাও বিশৃঙ্খলা। এতদিন বিভিন্ন ধরনের গাড়ির মধ্যে গতির যে পার্থক্য হতো, তা এখন অফিশিয়ালি অনুমোদন করে দেওয়া হলো। একই সড়কে যদি ৫০ ও ৮০ স্পিডের যানবাহন চলাচল করে, তাহলে চালকরা চালাবেন কীভাবে? তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে সে ক্ষেত্রে সড়কের লেন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যেমন বাম লেনে চলবে ধীরগতির যানবাহন ও ডান লেনে চলবে দ্রুতগতির যানবাহন। তবে এ প্রজ্ঞাপনে কোন লেনে কোন গতির যানবাহন চলবে তা উল্লেখ করা নেই। ড. শামসুল হক বলেন, জার্মানে স্পিড লিমিটই নেই। কারণ এটা বিজ্ঞান সমর্থন করে না। সবাই একই গতিতে চললে দুর্ঘটনা কম হয়। কারণ ওভারটেকিংয়ের মনোভাব থাকে না। গতির পার্থক্য বাড়লে যে সামনে থাকবে, পেছনের গাড়ি তাকে অনুসরণ করতে চাইবে না। ফলে ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তিনি বলেন, আমরা নিজেরা ৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল অনুমোদন দিচ্ছি আবার সর্বোচ্চ গতি ৩০ নির্ধারণ করছি, এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।

সর্বশেষ খবর