শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

জয় বাংলা স্লোগানে মুখর নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্ট ভবন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে উদযাপিত হয়েছে ‘বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে ৭ মে মঙ্গলবার স্টেট সিনেটে এবং এর আগে ২৫ মার্চ স্টেট অ্যাসেম্বলিতে এ উপলক্ষে দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দিনটি ছিল স্টেট পার্লামেন্টে বাঙালিদের জন্য বিশেষ একটি দিন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসানসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ পুরো ভবনকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত রেখেছিলেন। বাংলাদেশ ডে উপলক্ষে গত ১২ বছরের অনেক সময়ে এই ভবনে কিছু কার্যক্রম পালিত হলেও এবারের বাতাবরণ ছিল একেবারেই ভিন্ন। অংশগ্রহণকারী সবাই ছিলেন উল্লসিত।

 নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত অ্যাসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস অ্যাসেম্বলি হাউসে এবং সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৩২ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত সিনেটর লুইস সেপুলভেদা (লুইস ভাই হিসেবে সমধিক পরিচিত) স্টেট সিনেটে এ-সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন। স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেট অধিবেশনে গৃহীত পৃথক প্রস্তাবে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবদান স্বীকার করে তাদেরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশিদের অবদানসহ তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু তথ্য। এতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা অনেক ভালো কাজ করছেন এবং নানাভাবে অবদান রাখছেন। আমেরিকার অর্থনীতি বিনির্মাণে তাদের অনন্য ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় উভয় কক্ষের জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান নিবেদন করেন। স্টেট সিনেটর ও অ্যাসেম্বলিম্যানরা এ সময় তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রস্তাবের সমন্বয়কের কাজ করেছে ‘আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ’ নামে দুটি সংগঠন। ৭ মে বিকালে স্টেট সিনেটের অধিবেশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামনে সিনেটর লুইস সিপুলভিদা বিলটি পাঠ করে শোনানোর পর স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, জন ল্যু, জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস, জামাল টি বেইলিসহ বেশ কজন সিনেটর প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখার পরে সিনেট হাউসে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় প্রস্তাব। এর পরই প্রবাসীরা জয়-বাংলা স্লোগান আর বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।

সর্বশেষ খবর