শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সুরের মূর্ছনায় রবীন্দ্রনাথ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সুরের মূর্ছনায় রবীন্দ্রনাথ

‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে’ মর্মস্পর্শী এমন বাণী ও সুরে রবীন্দ্রনাথ চিরকাল তাঁর অন্তরাত্মার মর্মকথা শোনাতে চেয়েছেন। কবির ১৬৪তম জন্মদিনেও সেটি মূর্ত ছিল আলোচনা ও সুরের মূর্ছনায়। কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শিল্পকলা একাডেমি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এভাবেই কবিকে মূর্ত করে তোলেন শিল্পী ও আলোচকরা।

গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে ছিল কবির জন্মজয়ন্তীর তিন দিনের আয়োজনের সমাপনী। আর  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ছিল বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা আয়োজিত তিন দিনের উৎসবের দ্বিতীয় দিন।

এদিন জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপনের শেষ দিনের আলোচনায় ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে আলোচনায় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত, বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সবসময় রবীন্দ্র  রচনাবলি থাকত। রবীন্দ্রনাথের দর্শন, মানবতাবোধ নানাভাবে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় উচ্চারণ করেছেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছে তিনি রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন। একই ভাবে অজানাকে জানার রহস্যটা রবীন্দ্রনাথের কাছে পরিপূর্ণ হয়েছে পূর্ববঙ্গে এসে। বাউলদের চিন্তা দর্শন, তাদের গান, আধ্যাত্মবাদ কবিকে পরিপূর্ণ করে। তাদের সাহচর্যে এবং পূর্ববঙ্গের ধানখেত, মাঠ, কৃষক, প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, কবির আধ্যাত্ম ভাবনা, দার্শনিকতা, মানবতা ও বিশ্বভাবনায় ছাপ ফেলেছিল পূর্ববঙ্গ, বাংলাদেশ যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছে ঋণী তেমনি তিনিও পূর্ববঙ্গের কাছে ঋণী। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেবল বিশেষ দিনগুলোতে স্মরণে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে তাঁর দর্শন, সাহিত্য ভাবনা অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে।

আলোচনা পরবর্তী সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে সুরের ধারা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশন করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’।

এদিকে উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা, রবিরাগ, সংগীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। এদিন সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করেন ‘ওই মহামানব আসে’ ও ‘বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী’। আজ শেষ হবে তিন দিনের এই উৎসব।

সর্বশেষ খবর