ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। ইসলামী আন্দোলন সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। যখনই আমাদের প্রয়োজন হবে, সুযোগ হবে, আমাদের যা কিছু আছে, সব নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
গতকাল জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ। পরে একটি মিছিল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় প্রদক্ষিণ করেন। সমাবেশে ও মিছিলে তারা পতাকা উড়িয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানান। ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরও বলেন, রমজানে ইসরায়েলের বিমান বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে নামল কীভাবে? এর জবাব বাংলাদেশের জনগণ চায়। পাসপোর্টের মধ্যে অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল লেখা ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে কত মায়াকান্না! পাসপোর্ট থেকে যখন অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল তুলে দেওয়া হলো, তার মানেটা কী? প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যদি ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকেন, তাহলে ইসরায়েলের বিপক্ষে একদল বাহিনী গঠন করুন, বাংলাদেশ থেকে তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে যাবে। তিনি আরও বলেন, শুধু আমরা নয়, গোটা দুনিয়ার মানবতার পক্ষের লোকেরা আজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চায়। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আজ বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ভূখন্ডকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। বন্ধু বলে যাদের আপন করতে চাই, তারা আমাদের বুকে বারবার গুলি চালাবে, আমাদের ভূখন্ড দখল করার ষড়যন্ত্র করবে, ইসলামকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করবে, এসব দেশের মানুষ মানতে পারে না। সমাবেশে আগামী শুক্রবার দেশের সব উপজেলা, জেলা ও মহানগরে মিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
