ঝোড়ো আবহাওয়া ও বজ্রপাতে প্রাণ গেছে পাঁচজনের। এর মধ্যে বাগেরহাটে দুই শ্রমিক, চুয়াডাঙ্গায় দুজন এবং কুমিল্লায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, শরণখোলা উপজেলার চাল-রায়েন্দা গ্রামের বান্ধাঘাটা এলাকায় বজ্রপাতে দুই বালুশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এরা হলেন- শেখ মিলন (৪০) ও মোস্তফা (৫৫)। গতকাল সকাল ১১টার দিকে নদীর ঘাটে থাকা কার্গো থেকে বালু তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও ছয় বালুশ্রমিক আহত হন। জানা গেছে, নিহত দুই বালুশ্রমিকের মধ্যে শেখ মিলনের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামে ও মোস্তফার বাড়ি পিরোজপুর সদরের বালিপাড়া গ্রামে। আহত ছয় শ্রমিককের মধ্যে পাঁচজনকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- রাসেল গাজী (৩০), বাবুল সওদাগার (৪৫), খোকন গাজী (৪২), সোহেল তালুকদার (৩০) ও জলিল হাওলাদার (৪৫)। গুরুতর আহত অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে এক কৃষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার ঝাঁঝরি ও দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ঝাঁঝরি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (২৮) ও পাটাচোরা গ্রামের খেদের মল্লিকের ছেলে আহাম্মদ মল্লিক (৭০)। কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, মুরাদনগরে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে সিয়াম (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উত্তর ত্রিশ এলাকার বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিয়াম কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের প্রবাসী হুমায়ন কবিরের ছেলে।