শিরোনাম
সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা

চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী সৈকতকে তাৎক্ষণিক হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন  করা হয়েছে। মৃত মো. হানিফ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের চুতর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। গতকাল সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেক ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে। নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার ছিল না তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তার অবস্থা খারাপ হয়। পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরিভাবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর