আগামী ২৩ জুন ৭৫ বছরে পা দিচ্ছে উপমহাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করতে চায়। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

চূড়ান্ত কর্মসূচি গ্রহণ না করা হলেও প্রাথমিক আলোচনায় রয়েছে- জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে জমকালো অনুষ্ঠানের। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামে সারা দেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। থাকবে আন্তর্জাতিক সেমিনারও। এশিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

টানা চতুর্থ মেয়াদ ও মোট পঞ্চম মেয়াদে সরকার গঠন করার পর এবার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর আগে ২৫ বছরে রজতজয়ন্তী ও ৫০ বছরে সুবর্ণজয়ন্তী যখন পালন করে দলটি তখন তারা ক্ষমতায় ছিল না। এবার ক্ষমতায় থেকেই প্লাটিমান জয়ন্তী পালন করবে দলটি। খুব জাঁকজমকভাবেই পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড।

গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দলের ৭৫ বছর উদযাপন করব খুব ব্যাপকভাবে। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখব যে, কোন কোন দেশকে আমরা দাওয়াত দিতে পারি। কারা আসতে পারবে। সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণে আমরা আলাদা কমিটি করে দিচ্ছি। যেন সুন্দরভাবে এটা আমরা করতে পারি। তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে একটা রাজনৈতিক দল ৭৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে, এটা কম কথা নয়।

প্রসঙ্গত; ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা হয় আওয়ামী লীগের। প্রতিষ্ঠাকালীন দলটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সব ধর্ম, বর্ণের প্রতিনিধি হিসেবে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয় আওয়ামী লীগ। দলটির বর্তমান সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবার তার নেতৃত্বেই প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযপান করতে যাচ্ছে দলটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এরপর চারবার তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া দলের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।