বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ড. আবেদ চৌধুরীর গবেষণা সফল!

ধান চাষ ব্রিটেনে

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য

ধান চাষ ব্রিটেনে

ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ধান ফলন করে তাক লাগিয়েছেন গার্ডেনার আজম খান। বিশ্ববিখ্যাত জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা সফলতার মুখ দেখেছে। ড. আবেদ চৌধুরী ১০ মে ধান হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘এটা অভূতপূর্ব ও ঐতিহাসিক ঘটনা। এ ধান থেকে এখন লাখ লাখ টন ধান ফলানো সম্ভব হবে ব্রিটেনে। এটি ব্রিটেনের খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।’

ব্যাকটনে ১০ মাস ধরে নিজের ব্যাক গার্ডেনে নানা উপায় ও পদ্ধতি অবলম্বন করে এ সফলতার মুখ দেখেন আজম খান। আজম খান বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ জুলাই সাংবাদিক আ স ম মাসুম ও আলাউর রহমান শাহীনের মাধ্যমে ড. আবেদ চৌধুরী স্যারের এ গবেষণায় যুক্ত হই। ড. আবেদ চৌধুরী স্যার আমাকে তাঁর উদ্ভাবিত বেশ কিছু ধানের বীজ দিয়ে যান। তবে গত বছর যেহেতু একেবারেই সামারের শেষ পর্যায়ে দিয়েছিলেন তাই তিনি আমাকে পরীক্ষামূলকভাবে বীজ দেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এ বছর এসে সামারের শুরু থেকেই বীজ বপনসহ সব পরীক্ষানিরীক্ষা করব। কিন্তু গত বছর রোপণ করা ধানের চারায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ধান দেখা দেয়।’ আজম খান বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে ১০ মাস ধরে ধান গাছ জীবিত থেকে সেটা থেকে ধান হওয়া।’ গত উইন্টারে তিনি চারাসহ টব এনে প্রথমে গ্রিনহাউস, পরে বাসার রান্নাঘরের জানালার কাছে রেখে দেন। তিনি বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হলো, একটি টবে রোপণ করা একটি চারা থেকে ৯০টি ধানের গোছা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ধান আসা শুরু হয়। এ পুরো প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় থাকা আবেদ স্যারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। তাঁকে প্রতিদিন ছবি দিয়েছি। ভিডিওকলে স্যারের পরামর্শ নিয়েছি।’ ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, ‘গত বছর জুলাইয়ে আমি প্রথম ভিজিটে এসে আজম খানের গার্ডেনের স্যাটেলাইট তথ্য সংগ্রহ করি। গত ২০ বছরের তথ্য, যেমন এখানে কেমন বৃষ্টিপাত হয়েছে, কেমন তাপমাত্রা থাকে এসব বিশ্লেষণ করে আমি মোটামুটি নিশ্চিত হই এখানে ধান হওয়া সম্ভব। এ ছাড়া ব্রিটেনের উষ্ণ আবহাওয়াও একটি বড় ভূমিকা রেখেছে আমার এ গবেষণায়।’ তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনে ধান হওয়া সিলেটের জন্য বিরাট গৌরবের। আমি সিলেটের হারিয়ে যাওয়া ধান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ব্রিটেনে সিলেটের দুমাহি ধান (দুই মাসের মধ্যে ফলন হয়) হওয়ার অপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এ বছর সামারজুড়ে ধানের জন্য ব্রিটেনে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা করব।

গত বছরে যেটা করেছি সেটা ছিল আংশিক পরীক্ষামূলক। সেখানেই আমরা সফল হয়েছি। এ বছর লন্ডনে দুমাহি ধান ফলানো হবে। ভবিষতে লন্ডনে পঞ্চব্রীহি ধান ফসল করা সম্ভব হবে।’

সর্বশেষ খবর