বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঋণ পাবেন না খেলাপিরা

কোরবানির চামড়া সংগ্রহে ১০ সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে এবার ঋণ খেলাপিদের ব্যাংক ঋণ দেওয়া হবে না। যাদের ঋণ শ্রেণিকৃত বা মন্দঋণে পরিণত হয়নি, তারা ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে চামড়া সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি চামড়া কেনার জন্য মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন সুবিধা দিতে হবে ট্যানারি মালিকদের। সরকার নির্ধারিত দামে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছেন কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে মোট ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানিয়েছে। সভায় গৃহীত অন্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- গরু কিনলে ক্রেতাকে গরুর সঙ্গে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ কিনতে হবে এবং গরুর হাটগুলোতে লবণ বিক্রির সুবিধা রাখতে হবে; কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানাগুলোকে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করবে জেলা প্রশাসন; প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির সহায়তায় স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে;  কোরবানির পশুর চামড়া ঈদ পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে ঢাকায় আনা যাবে না; পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ট্যানারিগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে; কোরবানির পশুর হাটে বিক্রেতার মূল্য পরিশোধে নগদ টাকার পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পরিশোধে উৎসাহিত করতে হবে; কোরবানির পশু পরিবহনকৃত ট্রাক থামিয়ে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করা যাবে না এবং চামড়ার অবৈধ পাচার ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠক প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক ঋণের বিষয়টি তুলেছিলেন। চামড়া কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋণসুবিধা দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে সুপারিশ জানানো হয়। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি জানান, ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যতীত ব্যবসায়ীদের ঋণসহায়তা দেবে। এ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে কোথাও যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তিমূলক টাকা-পয়সার লেনদেন না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সচিব আরও জানান, প্রতি বছর শোনা যায়, পশু বিক্রির পর বিক্রেতারা ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন; গরুর হাটে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। ছিনতাই ও জাল টাকার ব্যবহার প্রতিরোধে এবার ক্যাশ টাকার পরিবর্তে বিকাশ, নগদসহ অন্যান্য মোবাইল ফিন্যান্সিং সিস্টেমে বিক্রেতার অর্থ পরিশোধে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর