বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

হজযাত্রীর মাধ্যমে সৌদিতে জর্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের মাধ্যমে সৌদি আরবে জর্দার কার্টন পাঠাচ্ছে হজ এজেন্সিগুলো। যা আটক হয়েছে জেদ্দা বিমানবন্দরে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে হজ এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এবার হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও হজযাত্রীদের ভিসা না করার কারণে ছয় এজেন্সিকে আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

গত রবিবার  জুম প্ল্যাটফরমে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত ১২ মে জুম প্ল্যাটফরমে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আবদুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে গমনের আগে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা নিজ ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠিয়েছে যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজগাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। সভায় ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে আবাসন বরাদ্দ রয়েছে এসব বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর আগেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রির অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে। সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিসের মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সিগুলোর মালিকরা অংশ নেয়।

ভিসা না করায় ছয় এজেন্সিকে তলব : বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও হজযাত্রীদের ভিসা না করার কারণে ছয় এজেন্সিকে তলব করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখা চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে মন্ত্রণালয় বলছে, ৯ মে থেকে হজযাত্রা শুরু হলেও ছয় এজেন্সি এখনো হজযাত্রীদের ভিসা করেনি। ভিসা না করায় হজযাত্রীদের যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ওই ছয় এজেন্সির অধীন ১ হাজার ৮৭৫ হজযাত্রী রয়েছেন। এজেন্সিগুলো হলো- ওয়ার্ল্ড লিঙ্ক টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আনসারি ওভারসিস, আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সিস, মিকাত টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, নর্থ বেঙ্গল হজ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরস এবং হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস।

এদের দ্রুত ভিসা করা এবং আজ মন্ত্রণালয়কে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর