রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন লালা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার আস্তানা থেকে বাংলাদেশে আরসার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ও কমান্ডার মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিমসহ দুজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, তাদের কাছ থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ৯ রাউন্ড নাইন এমএম পিস্তলের এমুনিশন, ১টি এলজি এবং ৩টি ১২ বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দুল আবেরার ছেলে মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম (৩৮)। বালুখালী ৮/ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ/২৩ এর মোহাম্মদ নুরের ছেলে মো. রিয়াজ। র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মো. শাহনুর প্রকাশ মাস্টার সলিম একজন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক। ২০১৭ সালের পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-১৫ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশে থাকাকালীন সেখানকার জোন কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়াও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে ২০১৭ সালে আসার পর মৌলভী আকিজের মাধ্যমে আরসায় পুনরায় যোগদান করেন। র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ক্যাম্পে অরাজকতা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করছে আরসা। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্র মজুতের তথ্য পেয়ে র্যাব লালা পাহাড়ে অভিযান চালায়। তিনি বলেন, গতকাল ভোরে র্যাব সদস্যরা লালা পাহাড় ঘিরে ফেললে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে র্যাব আস্তানায় ঢুকে পড়লে আরসার দুই সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।