শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিমান কেনা নিয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইনস বিমান বাংলাদেশের জন্য আমরা নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। বোয়িং ও এয়ারবাস উভয়ের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। যেটা বিমানের জন্য ভালো সেটাই কেনা হবে।

গতকাল সচিবালয়ে এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাস গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াটার ভ্যান ওয়ার্শ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। এয়ারবাসের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে এয়ারবাস তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি মূল্যায়নের জন্য বিমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বোয়িং কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এটিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা হবে।

ফারুক খান বলেন, এভিয়েশন শিল্প মানে শুধুই উড়োজাহাজ বা বিমানবন্দর নয়। এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো দক্ষ মানবসম্পদ। আমরা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং তাদের নিয়মিত ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে একটি অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  সাক্ষাৎকালে এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। একটি টেকসই অ্যাভিয়েশন শিল্প নিশ্চিতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চাই। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি অ্যাভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের কর্মীদের এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করতে এয়ারবাস আগ্রহী। এর জন্য বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা কৌশলগত অংশীদারত্ব তৈরি করার কাজ করছি।

 

সর্বশেষ খবর