শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সুপারি গাছের খোল দিয়ে প্লেট বাটি চামচ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

সুপারি গাছের খোল দিয়ে প্লেট বাটি চামচ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় সুপারি গাছের খোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ওয়ান টাইম তৈজসপত্র। ক্ষতিকর প্লাস্টিকের তৈজসপত্রের পরিবর্তে সুপারি গাছের খোল দিয়ে তৈরি তৈজসপত্র স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ সম্মত। বাজারে দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে। ইকো বিডি গ্রিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, প্রথমে খোলগুলোকে পাতা থেকে আলাদা করা হয়। তারপর নিমপাতা ও লেবুর রস যুক্ত পানিতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখা হয়। এরপর ব্রাস দিয়ে ঘষে জীবাণুমুক্ত করা হয়। তারপর আধাঘণ্টা রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। পরে পাতার খোল ছাঁচের মেশিনে বসিয়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিভিন্ন আকৃতির বাটি, প্লেট, চামচ, ট্রেসহ আট ধরনের জিনিস প্রস্তুত করা যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব প্লেট সাত থেকে আট টাকা, বাটি পাঁচ টাকা অন্যান্য তৈজসপত্র নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে জেলায় চাহিদা কম হলেও এনজিওরা এ তৈজসপত্র কিনছেন। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রামেও রপ্তানি হচ্ছে।

 ইকো বিডি গ্রিনের পরিচালক ফরিদুল আলম হিরু বলেন, ‘শুরুতে সুপারির খোল পাওয়া যাচ্ছিল না। চাষিরা এগুলো বিক্রি করতে চাচ্ছিল না। আস্তে আস্তে আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হই। বর্তমানে প্রতিটি খোল আমরা দুই-তিন টাকা দরে কিনছি।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের জানান, ‘এ তৈজসপত্রগুলো ব্যবহার করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। ব্যবহার করার পর মাটিতে ফেলে দিলে সার হয়ে যাবে। মাটির উর্বরতা বাড়বে।’ বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার জানান, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। দেশে-বিদেশে পরিবেশ সম্মত এসব তৈজসপত্রের চাহিদা বাড়বে।’

সর্বশেষ খবর