রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অসময়ে ভাঙনে উৎকণ্ঠা

তিস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

অসময়ে ভাঙনে উৎকণ্ঠা

রংপুরের কাউনিয়ায় অসময়ে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের। ইতোমধ্যে ভাঙনে কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের পাঞ্জরভাঙ্গা ও গদাই গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা, চলাচলের রাস্তা, ফসলি জমি এবং গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় দিশাহারা স্থানীয়রা।

জানা গেছে, তিস্তার অসময়ের ভাঙনে উপজেলার পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরগনাই তালুক শাহাবাজ, নিজপাড়া গ্রামের কয়েক শ পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তার গ্রাসে পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের অন্তত অর্ধশত পরিবারের বসতভিটা, কয়েক শ বিঘা ফসলি  জমি, বাঁশঝাড় এবং গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হঠাৎ নদীভাঙনের কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা সেতুর কাছে চর জাগায় পানি সোজা পথে সরাসরি যেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ডান তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা ভাঙনের শিকার হয়েছে। একটি চলাচলের রাস্তাও নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ নদীতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে গত বুধবার বিকালে পরিদর্শন করেছেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তা। সরেজমিন দেখা গেছে, গদাই গ্রামের মো. হাফেজ উদ্দিন, মো. সুরুজ মিয়া, মো. বাবুল মিয়া, মো. আনছার আলী, মো. তারা মিয়া, মো. ফুল মিয়াসহ অনেকের বসতভিটা বিলীন হয়েছে। তারা বলেন, হঠাৎ নদীগর্ভে বসতভিটা হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। মাথা গোজার ঠাঁইটুকু নেই নদীভাঙনে।  নদীপাড়ের তারামিয়া, বাবুল, শহিদুল, রাজ্জাক, ফুল মিয়া, আলেফ, শাহিন, মোস্তাক, আমজাদ, ওসমান, রফিকুলসহ অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।  রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত জিওব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে।

সর্বশেষ খবর