৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও বৈষম্যহীনভাবে নবম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণাসহ ছয় দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করে অবিলম্বে জাতীয় নবম বেতন স্কেল ঘোষণার বিকল্প নেই। তিনি কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী রেশনিং পদ্ধতি চালু, সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সব পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, ডিপ্লোমাধারীদের দশম গ্রেড প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা চালু, টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড প্রদান, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ ব্লক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালু রাখার দাবি জানান। একই সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন সমিতির নেতারা। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ২৬-৩০ মে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে পরবর্তী আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ নুরনবি, রাহয়ন উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামুনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
