শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

যুবককে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরের পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে নির্যাতন

ঝালকাঠি ও ফেনী প্রতিনিধি

ঝালকাঠির নলছিটিতে চোর সন্দেহে এক যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ধাপর গ্রামে রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম রিয়াজ ফকির (২৪)। তিনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের নুরু ফকিরের ছেলে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. টি এম মেহেদী হাসান সানি বলেন, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় জানান, নিহত যুবকের সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মর্গে লাশ নিতে আসা নিহত যুবক রিয়াজ ফকিরের বাবা নুরু ফকির বলেন, ‘আমার ছেলে চোর নয়। সে জেলে। মাছ ধরে বিক্রি করে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’ ঢাপর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ঘটনা সম্পর্কে জানান, গ্রামে প্রায়ই চুরি হয়। তাই গভীর রাতে গ্রামীণ সড়কে যুবককে চলাফেরা করতে দেখে চোর সন্দেহে এলাকাবাসী তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার মৃত এলেম গাজীর বসতঘরের বাসিন্দা নাসিমা বেগম বলেন, রবিবার গভীর রাতে আমি গোয়ালঘরের বেড়ার টিন খোলার শব্দ পাই। বের হয়ে সেখানে এক যুবককে দেখি। এ সময় ডাকচিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে ওই যুবককে ধরে নিয়ে যায় এবং গাছে বেঁধে রাখে। মারপিট করে। এরপর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে গতকাল সকালে লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেনের দাবি- ওই যুবক গোয়ালঘরের টিন খোলার সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। পরে পিটুনি দেওয়া হয়। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী স্থানীয় গ্রামপুলিশের বরাত দিয়ে জানান, গোয়ালঘরের টিন খোলার শব্দ পেয়ে ওই ঘরের লোকজন বাইরে এসে ওই য্বুককে ধাওয়া দেয়। এরপর এলাকাবাসী তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে। কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি, এখনো এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

ফেনীতে কিশোরের পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দিল বখাটেরা : কিশোর তানভীর হোসেন নয়নের পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দিল বখাটেরা। আহমেদ শপিং সেন্টারে তৃতীয় তলার একটা কক্ষে নিয়ে কয়েকজন বখাটে তাকে যৌন নির্যাতন করে। পরে বাথরুম নিয়ে তার পায়ুপথে বাথরুম পরিষ্কারের ব্রাশ ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনার পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তানভীরের দোকানের মালিক ফরজ আলী নয়ন বলেন, ঘটনার দিন তানভীরের দোকানে আসতে দেরি দেখে আমি তার মোবাইলে কল দিই। প্রায় পাঁচ ছয়বার কল দেওয়ার পর তানভীর কল ধরে। সেই বলতে থাকে আমারে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলেছে। এই খবর শুনে আশপাশের কয়েকজন দোকানিকে নিয়ে আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করি। চিকিৎসা চলছে অবস্থা খুবই খারাপ। ভুক্তভোগী কিশোরের ভাই বলেন, ওই দুই ব্যক্তি তার ভাইকে মারধর করে তিন তলায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি টয়লেটে ঢুকিয়ে তার দুই হাত ও মুখ বেঁধে যৌন নির্যাতন করে। পরে তার পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দেয়। এতে মূর্ছা যায় সে। পুরো টয়লেট রক্তে ভেসে যায়। পরে বখাটেরা টয়লেটের দরজার বাইরে হুক লাগিয়ে চলে যায়। ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম জানান, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর