বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মেননের বাসায় ১৪ দলের শরিক নেতাদের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জোটপ্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে শলাপরামার্শ করলেন শরিক নেতারা। গতকাল সকালে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ঢাকার বাসায় বৈঠকে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ জোটের আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কী বলবেন, নিজেরা পরামর্শ করেন। জোট নেতাদের বক্তৃতায় ক্ষোভ উঠে আসে। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত মিছিল মিটিং করতে পারে, অনেক জায়গায় আমাদের মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হয় না।  ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলার আছে। সেগুলো আমরা  বলব। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জোট থাকবে কিনা সেটা জোটপ্রধান দলকেই ভাবতে হবে। জোট রাখা আমাদের চেয়ে তাদের বেশি প্রয়োজন। তারা রাখলে শরিকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে রাখবে, না রাখলে সেটা বলে দেবে।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, জোট আছে, জোট থাকবে। বৈঠকে জোটপ্রধান কি বলে সেটা আগে শুনতে হবে।

জোটের ভিতরে ঐক্য প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, আমরা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বাসায় কয়েকজন বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে নিজেরা কিছু কথাবার্তা বলেছি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জোটপ্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কী বলেন, সেগুলো শুনব। এরপর প্রয়োজনে কথা বলব, প্রয়োজন না হলে কোনো কথা হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোটের এক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেননের আহ্বানে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। অনেক কথাই হয়েছে। শরিক দলের নেতারা প্রাপ্য সম্মান চান। তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে বা অবহেলার শিকার হয়ে থাকতে চান না। গত সংসদ নির্বাচনের আগে, এবারের সংসদ নির্বাচনে কী হয়েছে, কী করা প্রয়োজন ছিল সেগুলো জোটপ্রধানকে জানানো হবে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটাও পরিষ্কার হওয়ার জন্য ঐকমত্য পোষণ করেন শরিক নেতারা।

সর্বশেষ খবর