বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে এক মাসে গেছে ৭০৮ প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে এক মাসে গেছে ৭০৮ প্রাণ

গত এপ্রিল মাসে সারা দেশে ৬৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭০৮ জন নিহত ও ২ হাজার ৪২৬ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৪ জন নিহত ও ৩২৮ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৭, নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৭৩৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬৩ নিহত এবং ২ হাজার ৪৭২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো তথ্যে বলা হয়েছে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১ হাজার ৩১৬ জনের মধ্যে যাচাইবাছাই করে ১ হাজার ৯৬ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এসব দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত ও ৩০৫ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে ৩৫টি। এসব দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৯ জন চালক, ৬৩ জন পথচারী, পরিবহন শ্রমিক ৫৮, শিক্ষার্থী ৪৬, শিক্ষক ৬, নারী ১১৯, শিশু ৬৭ জন। এ ছাড়াও সাংবাদিক ৩, চিকিৎসক ২, আইনজীবী ১, প্রকৌশলী ৩ এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪৭.৪৩ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.৩২  শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩.১৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে হয়েছে। ৩৫.২৮ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়েছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ১৪.৭৮

শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালক এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালকের অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে কিছু সুপারিশও তুলে ধরেছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে- জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস দেওয়া; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

সর্বশেষ খবর