শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনি সংঘাতে আবার খুন

ভোলায় ভাইয়ের হাতে নিহত, নরসিংদীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যায় দুজন গ্রেফতার, হামলা সংঘর্ষ অব্যাহত

প্রতিদিন ডেস্ক

নির্বাচনি সংঘাতে আবার খুন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে আরও হাঙ্গামার খবর পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী নরসিংদীর রায়পুরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পিটিয়ে হত্যার পর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী বিরোধের কারণে ছোটভাইয়ের হাতে বড়ভাই নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নরসিংদী : রায়পুরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সুমনের ওপর হামলায় প্রধান অভিযুক্ত চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলের মামাতো ভাই আলামিন ও মামা বাছেদ। এদিকে সুমনের মৃত্যুতে শোকে বিহব্বল হয়ে পড়েছেন তার স্বজনারা। বাড়িজুড়ে চলছে আহাজারি।

অন্যদিকে ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, রায়পুরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

ভোলা : ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সংঘাতে আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মালেকের সঙ্গে তার ছোটভাই তাজল ইসলামের বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত ২১ তারিখে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন ছোটভাই তাজল ইসলাম এবং তাজল ইসলামের ছেলে সোহাগের নেতৃত্বে ৫-৬ জন হামলা করেন। এতে ঘটনা স্থলেই নিহত হন মালেক। তার অপর ভাই মফিজুল ইসলাম মজু গুরুতর আহত হন। তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় আহত মফিজুল ইসলাম মজুর ছেলে মোবারক লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। এতে বজলুর রহমান, বজলুর ছেলে আরিফ ও হাসনা নামের তিনজন আহত হন।

পাবনা : পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামিল হোসেনের কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রচারণার সময় হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কামিল হোসেনের স্ত্রীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরের উপজেলার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দুবলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ একটি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন কামিল সমর্থকরা। এরপর বিকালে কামিল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের নামে আতাইকুলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে হামলাকারীরা তার কর্মী নন বলে দাবি করেছেন সোহেল হাসান শাহিন (মোটরসাইকেল)।

সর্বশেষ খবর