কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ বাড়ছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরের পর এবার আরও বড় আকারের চাষ হচ্ছে দেবিদ্বার উপজেলায়। এ উপজেলার ধলাহাস গ্রামে দুই বিঘা জমিতে থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। বাগান দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয় ও কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, দেবিদ্বার উপজেলার মরিচা গ্রামের কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন সরকার তিনি সৌদি আরবে কাজ করতেন। দেশে এসে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী ফসলের চাষ করেন। এবার পাশের গ্রাম ধলাহাসে করেছেন আঙুরের চাষ। ঝিনাইদহ থেকে চারা এনেছেন। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ধলাহাস গ্রামের সড়কের পাশে উঁচু জমি। সেখানে বাঁশ ও সিমেন্টের পিলার দিয়ে মাচা করা হয়েছে। মাচায় লতানো আঙুর গাছ। হালকা বাতাসে ঝুলছে থোকায় থোকায় আঙুর। গাছের পরিচর্যা করছেন আনোয়ার হোসেন ও তার শ্রমিকরা।
আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, ১৫ মাস আগে দুই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করেন। ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার চাষ দেখে অনেকে প্রথমে হাসাহাসি করেছেন। ঠাট্টা করা লোকজন এখন ফলন দেখে বিস্মিত। তারাও এখন আঙুর চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ৬০ শতাংশ জমিতে আঙুর বাগান করেছেন আনোয়ার। আমরা বাগানটি পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। পরিপক্ব হতে আরও ১৫-২০ দিন লাগবে। ফলন বা বাণিজ্যিক সফলতা ব্যর্থতা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা পরামর্শ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) শেখ আজিজুর রহমান বলেন, আঙুর মূলত ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো হয়। এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে আঙুর বিচ্ছিন্নভাবে চাষ হচ্ছে। ফলন পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব কেমন সফলতা এসেছে।