শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাজেট ২০২৪ - ২০২৫

চাই হয়রানি থেকে মুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ

--- মোহাম্মদ হাতেম

রাশেদ হোসাইন

চাই হয়রানি থেকে মুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ‘এনবিআরের তিন বিভাগ-ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমসের হয়রানি থেকে মুক্ত ব্যবসাবান্ধব ও পণ্য রপ্তানির পরিবেশ চাই।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এআইটি যেটা নেওয়া হয় তা নেওয়া বন্ধ করতে হবে। এআইটি যদি নিতে হয় তাহলে রিটার্ন দাখিলের সময় সমন্বয় বা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যদি সমন্বয় না করা যায় তাহলে এ এআইটি বন্ধ করতে হবে। বর্তমান সংকটের সময় যে হারে এআইটি নেওয়া হচ্ছে, এ এআইটিকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ০.৫ শতাংশ করতে হবে। এ এআইটি দেওয়ার পর ট্যাক্সবিষয়ক সেই কোম্পানিকে আর কোনো কথা বলা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘রপ্তানিমুখী  শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভ্যাটমুক্ত। কিন্তু ভ্যাটের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভ্যাটমুক্ত সে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভ্যাটের লোকজন অত্যাচার করছে। কোনো প্রকার ভ্যাটের সংশ্লিষ্টটা রপ্তানিমুখী শিল্পের সঙ্গে থাকতে পারবে না। এ ব্যবস্থার আমরা নিশ্চয়তা চাই।’ বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি আরও বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ ঠিকমতো দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল আমদানি করতে হয়। কিছু কিছু পার্টসের ওপর ট্যাক্স ডিউটি ধরা আছে। সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা যদি সোলার সিস্টেম লাগাই তাহলে এখান থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ গেলে দেশ উপকৃত হবে এবং সরকার উপকৃত হবে। সরকার ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কিছুসংখ্যক কোম্পানিকে দেশের জনগণের টাকা দিচ্ছে। সেই অর্থ বন্ধ করা হোক। এ সোলার সিস্টেম আমদানির ওপর যত ধরনের ট্যাক্স-ভ্যাট আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।’ হাতেম বলেন, ‘মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ডিউটি করার সুযোগ রয়েছে। মেশিনের সকল প্রকার পার্টস ও যন্ত্রাংশ ১ শতাংশের মধ্যেই যেন আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আনতে গেলে দেখা যায় এটার ডিউটি বেড়ে যায়। এতে ইনভেস্টমেন্ট বেড়ে যায়। এজন্য সকল প্রকার মেশিনারিজ শুল্কমুক্ত আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। মেশিন আমদানির জন্য অবারিত সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ মেশিন আনলে দেশের কোথাও না কোথাও কেউ সেটা সেট করবে। এরপর উৎপাদন হবে। এ উৎপাদন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করবে। দেশের ভিতরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।’

সর্বশেষ খবর