ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। গতকাল এ আদেশ দেন আদালতটি। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। শুনানিতে আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক নাওয়াফ সালাম বলেছেন, আদালতের প্রথমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে, ২৮ মার্চের আদেশের পর পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার মানুষের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আইসিজে রাফাতে ইসরায়েলকে আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি গাজাবাসীর অধিকারের অপূরণীয় ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করেছে। আইসিজের পূর্বের আদেশের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে এই মামলায় নতুন জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিস্থিতি নিয়েও বিচারক কথা বলেছেন। জিম্মিরা এখনো বন্দি থাকায় গভীর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।ইসরায়েলের প্রতি আইসিজের নির্দেশের মধ্যে রয়েছে, রাফায় অভিযান বন্ধ, মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং চালু করা, তদন্তকারী ও ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের গাজায় প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং এক মাসের মধ্যে এ পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি আদালতকে জানানো। ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে হেগে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপের আবেদনের পর আইসিজে এই নির্দেশ দিয়েছেন। এক সপ্তাহ আগে রাফাহতে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল প্রিটোরিয়া। মামলার অংশ হিসেবে এর আগে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
আইসিজে বিভিন্ন দেশের বিরোধ মীমাংসার জন্য জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত। এর রায় চূড়ান্ত ও মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অতীতে এর রায় উপেক্ষা করার ঘটনা রয়েছে। রায় বাস্তবায়নের ক্ষমতা নেই আদালতটির। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর আরও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেছেন।