বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পোশাক রপ্তানি কমেছে ভারতে

♦ গ্যাস বিদ্যুৎ মজুরি বাড়ায় পিছিয়ে পড়েছে ♦ প্রধান প্রধান বাজারেও চাহিদা কমছে ♦ ক্রয়াদেশ না থাকায় অর্ধেকই বন্ধ থাকছে

শাহেদ আলী ইরশাদ

পোশাক রপ্তানি কমেছে ভারতে

আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে রপ্তানি বেড়েছে প্রচলিত বাজারে। চাহিদা ও রপ্তানি কমে যাওয়ার জন্য স্বনির্ভর ভারত আন্দোলনকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের বাড়তি দাম, অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ ও মজুরি বাড়ানোর কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, ভারতের রপ্তানির তথ্য বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানির পরিস্থিতির ওপর প্রতিফলিত হয়।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫৪৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ভারতে। অন্যদিকে আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৩০ দশমিক ৫১ মিলিয়ন ডলার। নিট ও ওভেন পোশাক রপ্তানি কমেছে। নয় মাসে নিট পোশাক রপ্তানি ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ২৬৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ওভেন পোশাক ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে ৩৭৮ দশমিক ১৭ মিলিয়ন হয়েছে। ভারতে পোশাক রপ্তানি কমলেও স্থানীয় উৎপাদনকারীরা বলছেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, কোরিয়া, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। তথ্য বলছে, মেক্সিকোতে পোশাক রপ্তানি ২ শতাংশের মতো কমে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৮ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ডলার। রপ্তানিকারকরা বলছেন, দেশ এবং বিদেশের চাহিদা পূরণে ভারত স্থানীয়ভাবে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এ জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের নীতি সহায়তা দিচ্ছে দিল্লি। গত কয়েক বছর ধরে কাপড় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েছে গুজরাট। এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ ছাড়াও মজুরি বৃদ্ধির মতো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশের উৎপাদনকারীরা। এই তিন কারণে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে। অপর দিকে সার্বিকভাবে রপ্তানি করতে গিয়ে কাস্টমস সংক্রান্ত সমস্যায় হয়রানি তো রয়েছে। বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গ্যাস সংকট আমাদের উৎপাদন সক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে কোনো পোশাকের ক্রয়াদেশ আমরা গ্রহণ করছি না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান প্রধান ক্রেতাদের কাছে পোশাকের চাহিদা কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর