বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাজেট ২০২৪ - ২০২৫

অপচয় দুর্নীতি কমানোর অঙ্গীকার থাকা উচিত

গোলাম রহমান, ক্যাব সভাপতি

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

অপচয় দুর্নীতি কমানোর অঙ্গীকার থাকা উচিত

আসন্ন বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রধান চ্যালেঞ্জ হলেও-মূল্যস্ফীতি যাতে না বাড়ে সে লক্ষ্যে অপচয় ও দুর্নীতি কমানোর বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় সরকারের স্পষ্ট অঙ্গীকার থাকা উচিত বলে মনে করছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

কেমন বাজেট চাই-বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতি এবং অপচয়ের কারণে সরকারের ব্যয় বাড়ে। অতিরিক্ত ব্যয় বাজেটের ঘাটতি বাড়িয়ে দেয়। বরাবরের মতো এটিও একটি ঘাটতি বাজেট হবে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে। সরকার যদি ঘাটতি মোকাবিলায় টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তবে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। সে কারণে ঘাটতি কমাতে সরকারকে মিতব্যয়ী হতে হবে। অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে হবে।

ক্যাব সভাপতি বলেন, আসন্ন বাজেটের অন্যতম চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সরকারও বাজেটে এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষের আয়-রোজগার বাড়ছে না। এর প্রভাব পড়ছে জীবনমানে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর কৌশল হচ্ছে আয়-রোজগার বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ। মানুষের আয় যাতে বাড়ে, সে জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ থাকতে হবে আসন্ন বাজেটে। শুধু উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার যেন মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারের সাবেক এই সচিব আরও বলেন, বর্তমানে আরও একটি বড় সমস্যা ডলারের দাম বৃদ্ধি। এর ফলে বিনিময় হারে টাকার অবনমন ঘটছে। যখন টাকার দাম কমে যায়, তখন মানুষের আয়-রোজগারও কমে যায়। অপরদিকে সরকারের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এ কারণে আসন্ন বাজেটে ডলারের দাম ও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ থাকা উচিত। সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের উদ্ধৃতি দিয়ে গোলাম রহমান বলেন, তিনি (আকবর আলি খান) বলতেন, বাজেট এমন হবে, যেখানে সুঁই থেকে অ্যারোপ্লেন খরচের প্রতিফলন থাকবে। আগে বাজেটে সবকিছুর প্রতিফলন থাকলেও গত অর্থমন্ত্রীর (আ হ ম মুস্তফা কামাল) সময় থেকে তা দেখা যচ্ছে না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটের আগে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ছে। সরকারের উপকরণের দাম বাড়ালে এটি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই আসন্ন বাজেটে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর