অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বলা হয়েছে, মনিরুল হক সরকার নামে ওই কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাটের সহকারী কার্যালয়ে থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক সোমা হোড় সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। গতকাল মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই কর্মকর্তার নামে-বেনামে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। মনিরুল হক সরকার ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে মোংলা কাস্টমস হাউসের প্রিভেন্টিভ অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে একই পদে সদর দফতর ঢাকা পশ্চিমের কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটে যোগ দেন। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার নিজ নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। দুদক আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দেখে, তিনি ১৯৯৬-১৯৯৭ করবর্ষে আয়কর নথি দাখিল করেন। তবে তার ২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে আয়কর নথি পাওয়া যায়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২২ লাখ ২ হাজার টাকা ১৯ বি ধারায় প্রদর্শনপূর্বক কর পরিশোধসহ নিট আয় কিংবা সঞ্চয় পাওয়া যায় ২৯ লাখ ১১ হাজার ১১ টাকা। ওই করবর্ষ থেকে ২০২২-২০২৩ পযর্ন্ত মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৬ টাকা। যার মধ্যে ১৯ বি ধারায় প্রদর্শিত আয় ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। কর ও পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৬১৯ টাকা। দুদকের অনুসন্ধানে আসামির নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পিতার কাছ থেকে দান হিসেবে পাওয়া ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বাদে তার নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ১৬০ টাকা। তার নামে অর্জিত জ্ঞাতআয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ টাকা।