শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

২০০ টাকার নিচে মিলছে না কাঁচা মরিচ

অস্থির সবজির বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কোথাও ২০০ টাকার নিছে মিলছে না কাঁচা মরিচ। গত তিন সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এ সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে এমনিতেই কিছুটা ঘাটতি থাকে। গত বছর কোরবানির সময় কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। তাই ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে। ফলে তিন সপ্তাহ আগে যে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন খুচরা বাজারে তার দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ এ সময়ে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এক কেজির কম কিনলে বিক্রেতারা আরও বেশি দাম চাইছেন। ঢাকার খিলক্ষেত বাজারে জনৈক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারে সামান্য কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকার ওপর। এটাও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অন্যান্য তরকারির দামও বেশি। বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছি। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষকদের কাছ থেকেই বেশি দামে কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এবার খরায় মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়ায় কাঁচামরিচের ফলন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলন কম হওয়ায় বেশি দামে মরিচ বিক্রি করেও লোকসান হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, সবজি বাজারও বাড়তি। বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর