রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সোলায়মান (৩৫)। তিনি হোটেলের বাবুর্চি ছিলেন। একই ঘটনায় শান্তা বেগম নামে এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট ৪ নম্বর রোডের একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, শান্তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাড্ডা থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সোলায়মানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ এক নারী চিকিৎসাধীন। সোলায়মানের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোলায়মান বাড্ডা কাবাব হোটেলের রুটি তৈরির কারিগর ছিলেন। সকালে হোটেলে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় পাশের একটি ভবনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ওই ভবনের গেটের কিছু অংশ ভেঙে তার মাথায় এসে লাগে। এতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার পলাশতলিতে। এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা ছিলেন সোলায়মান। দগ্ধ শান্তার স্বামী মাছ ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদার বলেন, মেরুল বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্ট ৪ নম্বর রোডের একটি তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় থাকি। সকালে সেখানে যে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণে ঘটনাটি ঘটে। বেশ কিছুদিন ধরে ওই বাসায় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। ঘটনার সময় তার স্ত্রী হয়তো দৌড়ে রুমের বাইরে চলে যান। তাকে গেটের বাইরে থেকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উপসহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করে। বিস্ফোরণে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
